লৌগাক্ষিভাস্করপ্রণীত অর্থসংগ্রহ
प्रयोगविधिः – प्रयोगप्राशुभावबोधको विधिः प्रयोगविधिः अथवा
अङ्गानां क्रमबोधको विधिः प्रयोगविधिः। যে
বিধিবাক্যের দ্বারা প্রয়োগের শীঘ্রতা বোঝানো হয় তাকে প্রয়োগবিধি বলে। অথবা অঙ্গের
ক্রম বোঝায় যে বিধি তাকে প্রয়োগবিধি বলে।
বিনিয়োগবিধিতে
অঙ্গ বোঝাতে যেমন ৬টি প্রমাণের কথা বলা হয়েছে তেমনই ক্রম নির্ণায়ক ৬টি প্রমাণও
বর্তমান। সেগুলি হল –
१. श्रुतिः – क्रमपरवचनं
श्रुतिः। ক্রমবোধক শব্দকে শ্রুতি
বলে। শ্রুতি দুই প্রকার – কেবল ক্রমবোধক (वेदं कृत्वा वेदिं करोति) এবং ক্রমবিশিষ্টপদার্থ বোধক(वषट्कर्तुः प्रथमभक्षः)।
२. अर्थः – यत्र
प्रयोजनवशेन क्रमनिर्णयः सः अर्थक्रमः। যেখানে
প্রয়োজনানুসারে ক্রম নির্ণয় করা হয় তাকে অর্থক্রম বলে। যথা – अग्निहोत्रं जुहोति,
यवागूं पचति। যবাগূ অগ্নিহোত্র
হোমে কাজে লাগে, তাই যবাগূ পাক আগে কর্তব্য়।
३. पाठक्रमः –
पदार्थबोधकवाक्यानां यः क्रमः स पाठक्रमः। অনুষ্ঠেয়
পদার্থের বোধক বাক্য়গুলি যে ক্রমে পঠিত হয়েছে তাকে পাঠক্রম বলে। অর্থাৎ যে ক্রমে
পাঠ সেই ক্রমেই অর্থবোধ আর সেই ক্রমেই অনুষ্ঠান। এটি দুই প্রকার – মন্ত্রপাঠ ও
ব্রাহ্মণপাঠ। আগ্নেয় ও অগ্নিষোমীয় যাগের যে ক্রম তা মন্ত্রপাঠ অনুসারে হয়। সমিধো
য়জতি, তনূনপাতং য়জতি ইত্যাদি প্রয়াজযাগে যে ক্রম তা ব্রাহ্মণপাঠ অনুসারে হয়।
४. स्थानम् – स्थानं
नामोपस्थितिः। উপস্থিতিকে স্থান
বলে। এই প্রমাণ অনুসারে সবনীয় যাগ প্রথমে হয়। বিশেষ – জ্যোতিষ্টোমযাগে অগ্নিষোমীয়
যাগ ঔপবসথ্য (চতুর্থ) দিনে হয়, সবনীয় যাগ সুত্যাকালে (পঞ্চমদিনে), আনুবন্ধ্যযাগ
অন্তে অর্থাৎ ক্রতুর শেষে (পঞ্চমদিনেই)। সাদ্যস্ক্র
যাগ (একদিনে সমাপ্য সোমযাগ) হল জ্যোতিষ্টোমের বিকৃতি যাগ। প্রকৃতি অনুসারে বিকৃতি
হয়। তাই একই রূপে পশু যাগগুলি অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত। কিন্তু সাদ্যস্ক্র যাগে सह पशूनालभेत এই বচন অনুসারে একসঙ্গে পশুযাগগুলি হবে। তাই
এখন প্রথম প্রশ্ন কোনদিনে হবে। সেখানে নির্ণয় করা হয় যে সুত্যাকালে হবে। কারণ
ঔপবসথ্যে করলে সবনীয়কে একটি স্থান এবং আনুবন্ধ্যকে দুটি স্থান অতিক্রম করতে হয়,
আনুবন্ধ্যেও তাই। কিন্তু সবনীয়দেশে করলে অগ্নিষোমীয়কেও একটি স্থান, আনুবন্ধ্যকেও
একটি স্থান। দ্বিতীয় প্রশ্ন সবনীয় দেশে হলেও অগ্নিষোমীয়, সবনীয়, আনুবন্ধ্য এই
তিনটির মধ্যে কোনটি আগে হবে। সেখানে স্থান প্রমাণ অনুসারে সবনীয় প্রথম উপস্থিত হয়,
তাই সবনীয়ই প্রথম অনুষ্ঠেয়। কারণ প্রকৃতি যাগে आश्विनं ग्रहं गृहीत्वा त्रिवृता
यूपं परिवीय आग्नेयं सवनीयं पशुमुपाकरोति এই
বচনের দ্বারা আশ্বিনগ্রহণের অনন্তর সবনীয় পশুযাগ বিহিত হয়েছে। তাই বিকৃতি যাগেও
সবনীয়ই প্রথম অনুষ্ঠেয়, তারপর অগ্নিষোমীয়, অন্তে আনুবন্ধ্য।
५. मुख्यक्रमः – प्रधानक्रमेण
योऽङ्गानां क्रमः स मुख्यक्रमः। প্রধান
যাগের ক্রমকে অনুসরণ করে অঙ্গযাগের ক্রম নির্ধারণকে মুখ্যক্রম বলে।
দর্শপূর্ণমাসপ্রকরণে আগ্নেয় যাগ ও ঐন্দ্র যাগ এই দুটি প্রধান কর্ম বিহিত হয়েছে।
আগ্নেয় যাগের হবি পুরোডাশ ও ঐন্দ্র যাগের হবি দধি। আগ্নেয় ও ঐন্দ্র যাগের ক্রম
যাজ্যা ও পুরোনুবাক্যার দ্বারা বিহিত। प्रयाजशेषेण हवींषि अभिघारयति এই বাক্যের দ্বারা প্রয়াজানুষ্ঠানের পর অবশিষ্ট হবির
অভিঘারণ বিহিত হয়েছে। দর্শ যাগে আগ্নেয় পুরোডাশ ও ঐন্দ্র হবি দ্রব্য। এখন শঙ্কা
অভিঘারণের ক্রম কি হবে। তখন মুখ্যক্রমানুসারে হয়। আগে পুরোডাশের অভিঘারণ অনন্তর
দধির।
६. प्रवृत्तिक्रमः – सहप्रयुज्यमानेषु प्रधानेषु संनिपातिनामङ्गानामावृत्त्यानुष्ठाने कर्तव्ये हि द्वितीयादिपदार्थानां प्रथमानुष्ठितपदार्थक्रमाद्यः क्रमः स प्रवृत्तिक्रमः। যে ক্রমে অঙ্গের অনুষ্ঠান শুরু (প্রবৃত্ত) করা হয় ঠিক সেই ক্রমেই অন্য অঙ্গগুলিরও অনুষ্ঠান করাকে বলে প্রবৃত্তিক্রম। পশুযাগে পশুকে উপাকরণ, নিয়োজন, ঘৃতলেপন প্রভৃতি করতে হয়। প্রাজাপত্যযাগে সতেরটি পশু বলি দিতে হয় তাহলে প্রত্যেকটি পশুর উদ্দেশ্যে উপাকরণ (কুশ স্পর্শ) করার পরে যখন নিয়োজন (যূপে বাঁধা) করা তখন যে ক্রমে উপাকরণ প্রবৃত্ত হয়েছিল সেই ক্রমেই কর্তব্য।
No comments:
Post a Comment