লৌগাক্ষিভাস্করপ্রণীত অর্থসংগ্রহ
अधिकारविधिः – कर्मजन्यफलस्वाम्यबोधको विधिरधिकारविधिः। यथा
– यजेत स्वर्गकामः इत्यादि।
বেদে
বিহিত কর্ম সাধারণতঃ ৩ প্রকার – কাম্য, নৈমিত্তিক ও নিত্য। যে কর্মের কোন
নির্দিষ্ট ফল নির্দিষ্ট আছে তা কাম্যকর্ম। যথা – য়জেত স্বর্গকামঃ। যাগের ফল এখানে স্বর্গ। তাই যিনি স্বর্গলাভ
চান তিনি এই কর্ম করবেন। যে কর্ম কোন নিমিত্তবশতঃ সম্পাদন করা হয় তা,
নৈমিত্তিককর্ম। যথা – য়স্যাহিতাগ্নেরগ্নির্গৃহান্ দহেৎ সোগ্নয়ে ক্ষামবতে
অষ্টাকপালং নির্বপেৎ। যে অগ্নি প্রতিষ্ঠাকারী
ব্যক্তির গৃহ অগ্নি দগ্ধ করে তিনি ক্ষামবান্ অগ্নির উদ্দেশ্যে অষ্টকপাল পুরোডাশ
আহুতি দেবেন। গৃহ অগ্নিদগ্ধ হলেই এই যাগ সম্পাদনীয় অন্যথা নহে। কোনরূপ ফলের আশা না
করে যে কাজ কেবল কর্তব্য মনে করে সম্পাদন করা হয় তাকে নিত্যকর্ম বলে। যথা – অহরহঃ
সন্ধ্যামুপাসীত। সন্ধ্যা উপাসনার কোন লভ্য ফল নেই কেবল প্রত্যবায়পরিহারই ফল। ইতি
বিধিঃ।
मन्त्रः
मन्त्राः – प्रयोगसमवेतार्थस्मारका मन्त्राः। অনুষ্ঠানসম্বদ্ধ দ্রব্য দেবতার স্মরণ যার
দ্বারা হয় তাকে মন্ত্র বলে। যদিও স্মরণ অন্যভাবেও হতে পারে তবুও নিয়মবিধি অনুসারে
মন্ত্রের দ্বারাই স্মর্তব্য।
অন্য
এক দৃষ্টিতে বিধিকে ৩ ভাগে ভাগ করা হয়।
१. अपूर्वविधिः –
प्रमाणान्तरेणाप्राप्तस्य प्रापको विधिरपूर्वविधिः। সম্পূর্ণ অজ্ঞাত বিষয়ক কর্মে প্রবৃত্তি উৎপন্ন করে যে
বিধি তাকে অপূর্ববিধি বলে। তাই এই বিধি অত্যন্ত অপ্রাপ্তের প্রাপক। যেমন – য়জেত
স্বর্গকামঃ।
२. नियमविधिः – नानासाधनसाध्यक्रियायाम्
एकसाधनप्राप्तौ अप्राप्तस्य अपरसाधनस्य प्रापको विधिः नियमविधिः। কোন কর্ম সম্পাদনের একাধিক বিষয় বা পদ্ধতি
জানা থাকলে তাদের মধ্যে কোন একটি বিশেষ পদ্ধতি অবলম্বনের নির্দেশ যে বিধি করে তাকে
নিয়মবিধি বলে। যথা – ব্রীহীন্ অবহন্তি। হামানদিস্তায় ধান কুটবে। তুষ আলাদা করার
জন্য নখ, ঢেঁকি, যন্ত্র, হামানদিস্তা প্রভৃতি উপায় থাকলেও হামানদিস্তা দিয়েই করতে
হবে। এই বিধি পক্ষে অপ্রাপ্তের প্রাপক।
३. परिसंख्याविधिः –
उभयोश्च युगपत्प्राप्तौ इतरव्यावृत्तिपरो विधिः परिसंख्याविधिः। দুটি সাধনের মধ্যে একটির নিবৃত্তি করে যে
বিধি তাকে পরিসংখ্যাবিধি বলে। এই বিধি আকৃতিতে ইতিবাচক কিন্তু তাৎপর্য নেতিবাচক।
পরিসংখ্যা ২ প্রকার – শ্রৌতী ও লাক্ষণিকী। বাক্যে এব প্রভৃতি শব্দ থাকলে তা
শ্রৌতী, না থাকলে লাক্ষণিকী। যথা – অত্র হ্যেবাবপন্তি। এখানে এব শব্দের দ্বারা
সোমযাগের মাধ্যন্দিন ও তৃতীয় সবনে পবমান নামক স্তোত্রে গায়ত্রী, বৃহতী ও অনুষ্টুপ্
ভিন্ন নুতন ছন্দের আবপন অর্থাৎ আগমন নিষিদ্ধ হয়েছে। লাক্ষণিকী – পঞ্চ পঞ্চনখা
ভক্ষ্যাঃ[1]। পাঁচটি পঞ্চনখবিশিষ্ট প্রাণী ভক্ষণ করতে হবে
এটি অক্ষরার্থ। শশক প্রভৃতি পাঁচটি পঞ্চনখবিশিষ্ট প্রাণী ভিন্ন অন্য প্রাণী ভক্ষণ
নিষিদ্ধ এটি তাৎপর্য। ইতরব্যাবৃত্তির বোধক এব পদ না থাকার জন্যই লাক্ষণিকী
পরিসংখ্যা তিনটি দোষের দ্বারা দুষ্ট হয় – শ্রুতহানি, অশ্রুতকল্পনা, প্রাপ্তবাধ।
শ্রুত পঞ্চ পঞ্চনখ ভক্ষণের হানি হয়, অশ্রুত শশকাদি পঞ্চ ভিন্ন পঞ্চনখ ভক্ষণের
নিবৃত্তি কল্পনা, স্বভাবতঃ প্রাপ্ত পঞ্চাতিরিক্ত পঞ্চনখ ভক্ষণের বাধ হয়। দোষত্রয়ের
মধ্যে প্রথম দুটি শব্দগত, শেষরটি অর্থগত।
[1]
पञ्च पञ्चनखा भक्ष्या ब्रह्मक्षत्रेण राघव। शशकः शल्यकी
गोधा खड्गी कूर्मोऽथ पञ्चमः॥
No comments:
Post a Comment