লৌগাক্ষিভাস্করপ্রণীত অর্থসংগ্রহ
नामधेयः
বেদে
কোন কোন শব্দকে বিশেষণ বা অঙ্গরূপে না ধরে কর্মের নামবিশেষরূপেই ধরা হয়। যথা –
উদ্ভিদা য়জেত পশুকামঃ। এখানে উদ্ভিদ্ যাগের কোন উপকরণ নয়, কিন্তু নামবিশেষ (নামধেয়)। সাধারণতঃ ৪টি কারণে নামদেয়
স্বীকার করা হয় – মত্বর্থলক্ষণার ভয়, বাক্যভেদের ভয়, তৎপ্রখ্যশাস্ত্র (কোন স্থলে যে বিশেষ গুণ বিহিত হচ্ছে
বলে আপাতদৃষ্টিতে মনে করা হচ্ছে যদি তা পূর্ব হতেই বিহিত হয়ে থাকার জ্ঞাপক অন্য
কোন বাক্য বা প্রমাণ থাকে) এবং তদ্ব্যপদেশ। শুদ্ধপদে মতুপ্ প্রত্যয় প্রচ্ছন্ন আছে
বলে ধরা হলে তাকে মত্বর্থলক্ষণা বলে। একটি অখণ্ড বাক্যকে ভেঙে বা পুনরাবৃত্তি করে
দুটি অর্থ কল্পনা করলে তা বাক্যভেদ। গুণ (দ্রব্য, দেবতা
ইত্যাদি) আগেই অন্য কোথাও বিহিত বা জ্ঞাপিত হয়ে থাকলে সেই পূর্ব হতে বিহিত অনুশাসনটি
তৎপ্রখ্যশাস্ত্র। তদ্ব্যপদেশ হচ্ছে কোন এক বিশেষ বস্তুর সঙ্গে অপর কোন এক বস্তুর
সাদৃশ্য। উদাহরণ যথাক্রমে – উদ্ভিদা য়জেত পশুকামঃ, চিত্রয়া
য়জেত পশুকামঃ, অগ্নিহোত্রং জুহোতি এবং শ্যেনেনাভিচরন্
য়জেত। এই চার স্থলেই উদ্ভিদ্,
চিত্রা,অগ্নিহোত্র এবং শ্যেন কোন বিশেষ দ্রব্য ও দেবতা নয়, যাগবিশেষেরই নাম।
উদ্ভিদা
য়জেত পশুকামঃ এই বাক্যের দ্বারা পশুরূপ ফল উদ্দেশ্য করে যাগ বিহিত হয়েছে এবং ঐ
যাগকে উদ্দেশ্য করে উদ্ভিদ্ গুণের বিধান করা হয়েছে এইরূপ ব্যাখাা করলে সোমেন য়জেত
ইত্যাদির মতো এখানেও উদ্ভিদবতা য়াগেন পশুং ভাবয়েৎ এই অর্থ স্বীকার করলে উদ্ভিদ্
শব্দে মত্বর্থলক্ষণা স্বীকার করতে হয়,
যা একটি অন্যতম দোষ। তাই
উদ্ভিদ্ যাগনামধেয়। দ্বিতীয় বাক্যের ক্ষেত্রে চিত্র শব্দটিকে কোন গুণ অর্থাৎ
দ্রব্য ধরলে য়াগেন ইষ্টং ভাবয়েৎ এবং চিত্রয়া য়জেত এইরূপ দুটি বাক্য কল্পনা করতে
হয়। বাক্যভেদ দোষের তাই চিত্রা নামক যাগের দ্বারা পশুসম্পদ সাধন করবে এইরূপ অর্থ
কল্পনা করা হয়। অগ্নিহোত্রং জুহোতি স্থলে অগ্নৌ হোত্রম্ অস্মিন্ অথবা অগ্নয়ে
হোত্রম্ অস্মিন্ এইরূপ ব্যুৎপত্তি গ্রহণ করে আহুতির আধার অথবা উদ্দেশ্য অগ্নি
বিহিত হয়েছে এইরূপ নির্ণয় উচিত নয় কারণ যদ্ আহবনীয়ে জুহোতি এই অন্য এক বাক্যের
দ্বারা আহুতির আধার অগ্নি এবং অগ্নির্জ্যোতিঃ মন্ত্রে অগ্নিই যে দেবতা তা আগেই
বিহিত হয়েছে। বিহিতের আর পুনর্বিধান হয় না। তাই অগ্নিহোত্র নামধেয়। শ্যেনেনাভিচরন্
য়জেত স্থলে শ্য়েন শব্দের দ্বারা কোন দ্রব্য বিহিত হয়নি। এখানে শ্যেন উপমাবাচী
শব্দ। যথা বৈ শ্যেনো এই অর্থবাদবাক্যে যাগটিকে শ্যেনের সাথে তুলনা করে বলা হয়েছে
শ্যেনের মতোই এই যাগ অকস্মাৎ শত্রুর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। উপমান ও উপমেয় অভিন্ন বা এক
হতে পারে না, তাই শ্যেন এখানে এক বিশেষ যাগেরই নাম।
निषेधः
पुरुषस्य निवर्तकं वाक्यं निषेधः। পুরুষের নিবৃত্তি বিধায়ক বাক্যই হল নিষেধ। বেদ ধর্ম
প্রতিপাদনের দ্বারা জীবের মঙ্গল করে। যেগুলি করা উচিত নয় সেগুলি থেকে নিবৃত্ত করার
মাধ্যমে অনিষ্টের নিরাকরণ হয়,
তাই নিষেধেরও প্রয়োজন আছে।
যথা – न
कलञ्जं भक्षयेत्। কলঞ্জভক্ষণ করা উচিত
নয়। বিধিবাক্য যেমন পুরুষকে প্রবৃত্ত করে,
নিষেধ বাক্য তেমন পুরুষকে
নিবৃত্ত করে, প্রেরণাবোধক লিঙ্, তাই লিঙ্ এর সঙ্গে নঞ্ এর অন্বয় হয়। কিছু ক্ষেত্রে
অন্বয় বাধিত হয়। বাধক ২ প্রকার – ১) তস্য ব্রতম্ ২) বিকল্পপ্রসক্তি। প্রথমপ্রকার
বাধকের উদাহরণ হল – नेक्षेतोद्यन्तमादित्यम् (উদীয়মান
সূর্য দেখবে না), দ্বিতীয়প্রকার বাধকের উদাহরণ – यजतिषु ये यजामहं
करोति नानुयाजेषु (যাগে ‘যে যজামহ’
সংজ্ঞক পদপাঠ করা উচিত, অনুযাজে নয়)।
अर्थवादः
प्राशस्त्यनिन्दान्यतरपरं वाक्यमर्थवादः। যে বাক্য প্রশংসা অথবা নিন্দা বোঝায় তাকে
অর্থবাদ বলে। অর্থবাদ ২ প্রকার – বিধিশেষ ও নিষেধশেষ। वायव्यं श्वेतमालभेत भूतिकामः এই বিধির অর্থবাদ হল – वायुर्वै क्षेपिष्ठा
देवता। এটি বিধিশেষ। बर्हिषि रजतं न देयम् এই নিষেধের অর্থবাদ হল – सोऽरोदीत् तद् रुद्रस्य
रुद्रत्वम्। এটি নিষেধশেষ।
অর্থবাদ
পুনঃ ৩ প্রকার –
१.
गुणवादः – प्रमाणान्तरविरोधे सत्यर्थवादो गुणवादः। यथा –
आदित्यो यूपः।
२.
अनुवादः – प्रमाणान्तरावगतार्थबोधकोऽर्थवादः अनुवादः। यथा –
अग्निर्हिमस्य भेषजम्।
३.
भूतार्थवादः – प्रमाणान्तरविरोधतत्प्राप्तिरहितार्थबोधकोऽर्थवादः
भूतार्थवादः। यथा – इन्द्रो वृत्राय वज्रमुदयच्छत्।
কেউ
কেউ অর্থবাদকে নিন্দা, প্রশংসা, পুরাকল্প
ও পরকৃতি এই চারভাগে ভাগ করেন। কোন মহান ব্যক্তির দ্বারা অনুষ্ঠিত কর্মের বিবরণ
পরকৃতি। যথা – অগ্নির্বা অকাময়ত – দেবতা অগ্নি চেয়েছিলেন। অপরের বাক্যের উদ্ধৃতিমূলক
যে কথা তা পুরাকল্প। যথা – তম্ অশপদ্ ধিয়া ধিয়া ত্বা বধ্যাসুঃ – তাকে শাপ দিলেন
তোমাকে প্রতিকর্মে বধ করুক। একজন ব্যক্তির দ্বারা অনুষ্ঠিত কর্ম পরকৃতি, বহুজনের অনুষ্ঠিত কর্ম পুরাকল্প এই ব্যাখাটিও কেউ কেউ
করেন।
*****
No comments:
Post a Comment