A PLATFORM FOR SANSKRIT ACADEMICIANS

॥महामहनीय! मेधाविन्! त्वदीयं स्वागतं कुर्मः॥

Namaste. I, Dr. Srimanta Bhadra, Head & Assistant Professor, PG Department of Sanskrit, Raja Narendra Lal Khan Women's College (Autonomous), will share various study materials here related to Sanskrit language, literature and scripture especially Sanskrit Grammar. Let me know your feedback in the comments. It will encourage me and do not forget to comment your favourite topics which you want to read in future.
अवनितलं पुनरवतीर्णा स्यात् संस्कृतगङ्गाधारा
Thanks & Regards
Dr. Srimanta Bhadra

Thursday, July 1, 2021

বক্রোক্তিজীবিতের মঙ্গলাচরণ, কাব্যপ্রয়োজন এবং কাব্যলক্ষণ

বক্রোক্তিজীবিতের মঙ্গলাচরণ, কাব্যপ্রয়োজন এবং কাব্যলক্ষণ

বক্রোক্তিজীবিতের মঙ্গলাচরণ, কাব্যপ্রয়োজন এবং কাব্যলক্ষণ


রাজানক কুন্তকাচার্য বিরচিত বক্রোক্তিজীবিতে ৪টি উন্মেষ বর্তমান, মতান্তরে ৫টি। উন্মেষ শব্দের অর্থ হল উন্মোচন অর্থাৎ বক্রোক্তিবাদের উন্মোচন। প্রথম উন্মেষে বক্রোক্তির ৬টি ভাগ দেখিয়েছেন। দ্বিতীয় উন্মেষে বর্ণবিন্যাসবক্রতা, ঔপচারবক্রতা, পদপূর্বার্ধবক্রতা ও প্রত্যয়বক্রতার বিস্তৃত বর্ণনা প্রস্তুত করেছেন। তৃতীয় উন্মেষে বাক্যবৈচিত্রবক্রতার আলোচনা করেছেন এবং চতুর্থ উন্মেষে প্রবন্ধবক্রতা ও প্রকরণবক্রতার ব্যাখ্যা প্রস্তুত করেছেন। বক্রোক্তিজীবিত প্রায় ধ্বন্যালোকের রীতি অনুসরণ করেই লিখিত। এখানে মূল কারিকা এবং কারিাকার্থ স্পষ্ট করার জন্য বৃত্তি রয়েছে। কারিকা এবং বৃত্তি উভয়েরই লেখক কুন্তকাচার্য। বৃত্তির মধ্যে আবার অন্তরশ্লোকও বিদ্যমান। অন্তরে মধ্যে বক্তব্যশেষাভিধায়কঃ শ্লোকঃ অন্তরশ্লোকঃ অর্থাৎ বৃত্তিমধ্যে আলোচিত বিষয়ের সারসংক্ষেপকারী শ্লোক অন্তরশ্লোক। কিন্তু ধ্বন্যালোকের মতো সংগ্রহশ্লোক এখানে দেখা যায় না। প্রথম উন্মেষে কারিকা সংখ্যা ৫৮।

পরম্পরা অনুসরণ করে মঙ্গলাচরণে ব্রতী কুন্তকাচার্য দেবী সরস্বতীর বন্দনা গ্রন্থারম্ভে করেছেন। মঙ্গলশ্লোকটি হল –

বন্দে কবীন্দ্রবক্ত্রেন্দুলাস্যমন্দিরনর্তকীম্।

দেবীং সূক্তিপরিস্পন্দসুন্দরাভিনয়োজ্জ্বলাম্।।

এই মঙ্গলাচরণটি কারিকাগ্রন্থের। বৃত্তিগ্রন্থে শিববন্দনা করেছেন – জগতস্ত্রিতয়... ইত্যাদি শ্লোকের দ্বারা।

মঙ্গলাচরণ করে গ্রন্থকার অনুবন্ধচতুষ্টয় নিরূপণে প্রবৃত্ত হয়েছেন –

লোকোত্তরচমৎকারকারিবৈচিত্র্যসিদ্ধয়ে।

কাব্যস্যায়মলঙ্কারঃ কোঽপ্যপূর্বো বিধীয়তে।।

কাব্যতত্ত্বজিজ্ঞাসু অধিকারী। উপমা প্রভৃতি অলঙ্কার প্রতিপাদ্য বিষয় এবং গ্রন্থের সঙ্গে বিষয়ের প্রতিপাদ্যপ্রতিপাদকভাব সম্বন্ধ এবং অলৌকিক চমৎকারকারী বৈচিত্র্য সিদ্ধি প্রয়োজন। এই কারিকাতে প্রযুক্ত অলঙ্কারশব্দটি উপচারের অর্থাৎ লক্ষণাব্যাপারের দ্বারা উপমা অলঙ্কারকে বোঝায়, তেমনি অলঙ্কারসদৃশ কাব্যগুণকেও বোঝায় এবং শব্দার্থের তাদাত্ম্য অধ্যাস বশতঃ অলঙ্কারপ্রতিপাদক গ্রন্থ বা শব্দরাশিকেও বোঝায়।

অলঙ্কারের প্রয়োজন থাকলেও অলঙ্কারের আশ্রয় কাব্যের যদি প্রয়োজন না থাকে তাহলে সব কিছু ব্যর্থ হয়ে পড়বে তাই কাব্যপ্রয়োজন নিরূপণ করছেন। প্রথমতঃ সুকুমার মতিদের ধর্মার্থকামমোক্ষরূপ পুরুষার্থচতুষ্টয় সিদ্ধির জন্য কাব্য আবশ্যক। দ্বিতীয়তঃ ব্যবহারজ্ঞানের জন্যও কাব্য আবশ্যক। তৃতীয়তঃ পুরুষার্থচতুষ্টয়েরও আনন্দ পস্পশপ্রায়ম্ অর্থাৎ আনন্দের ছোঁয়ামাত্র সেই কাব্যামৃতরসের জন্য কাব্য প্রয়োজন। তাই অলঙ্কার ও কাব্য উভয়েরই প্রয়োজন আছে।

এরপর প্রকৃতগ্রন্থে অলঙ্কৃতি অর্থাৎ যার দ্বারা অলঙ্কৃত হয় ও অলঙ্কার্য় অর্থাৎ অলঙ্করণীয় বাচকশব্দ ও বাচ্যার্থ অপোদ্ধার করে অর্থাৎ বিভাগপূর্বক স্বরূপ বর্ণনা করা হবে। কারিকাতে কুন্তক বলেছেন – সালঙ্কারস্য কাব্যতা অর্থাৎ অলঙ্কারবিশিষ্ট শব্দার্থরাশিই কাব্য। অলঙ্কৃত শব্দার্থই কাব্য, কাব্যের অলঙ্কার যোগ হয় না এটিই পরমার্থ।

সামান্যরূপে সালঙ্কারস্য কাব্যতা এই উক্তির দ্বারা কাব্যস্বরূপের আভাসমাত্র প্রদর্শিত হয়েছে, বিশেষরূপে কাব্যের লক্ষণটি হল –

শব্দার্থৌ সহিতৌ বক্রকবিব্যাপারশালিনি ।

বন্ধে ব্যবস্থিতৌ কাব্যং তদ্বিদাহ্লাদকারিণি॥

শব্দার্থৌ কাব্যম্ এই উক্তির দ্বারা শব্দ অর্থাৎ বাচক এবং অর্থ অর্থাৎ বাচ্য সম্মিলিতরূপে কাব্য। যথা প্রতিতিলে তৈল থাকে তেমন শব্দ এবং অর্থ উভয়ের সমুদায়ে কাব্যত্ব বর্তমান। এর ফলে শব্দমাত্রই কাব্য অথবা অর্থমাত্রই কাব্য এই সিদ্ধান্তগুলি নিরস্ত হয়। তাই শব্দচারুত্ব মাত্র থাকলে তাকে কাব্য বলা যায় না। যথা –

ভণ তরুণি রমণমন্দিরমাণন্দস্যান্দিসুন্দরেন্দুমুখি।

যদি সল্লীলোল্লাপিণি গচ্ছসি তৎ কিং ত্বদীয়ং মে।।

শব্দার্থৌ সহিতৌ কাব্যম্ এখানে সাহিত্য অর্থাৎ সহাবস্থান শব্দ এবং অর্থের সহাবস্থানের কথা বলা হয়নি, কারণ শব্দার্থের বাচ্যবাচকসম্বন্ধ নিত্য। কিন্তু বক্রতাবিচিত্রগুণালঙ্কারবিশিষ্ট শব্দার্থের সাহিত্যের কথা বলা হয়েছে। তাই কেবলমাত্র শব্দার্থের বিন্যাসই কাব্য নয় কিন্তু গুণালঙ্কার সহিত শব্দার্থই কাব্য। আবার শব্দের সঙ্গে শব্দান্তরের অর্থের সঙ্গে অপর অর্থের সাহিত্যও বোঝানো হয়েছে। শব্দের সঙ্গে শব্দের সাহিত্যভঙ্গ হলে রসহানি হয় –

চারুতা বপুরভূষয়দাসাং তামনূননবয়ৌবনয়োগঃ।

তং পুনর্মকরকেতনলক্ষ্মীস্তাং মদো দয়িতসঙ্গমভূষঃ।।

দয়িতসঙ্গমঃ ভূষা য়স্য এই বহুব্রীহিসমাসে দয়িতসঙ্গমশব্দটি অপ্রধান হয়ে পড়েছে। তাই এখানে কুন্তকাচার্য দয়িতসঙ্গতিরেনম্পাঠান্তর দেখিয়েছেন।

অর্থের সঙ্গে অপর অর্থের সাহিত্য ন হলেও রসহানি হয় –

অসারং সংসারং পরিমুষিতরত্নং ত্রিভুবনং

নিরালোকং লোকং মরণশরণং বান্ধবজনম্

অদর্পং কন্দর্পং জননয়ননির্মাণমফলং

জগজ্জীর্ণারণ্যং কথমসি বিধাতুং ব্যবসিতঃ।।

এখানে মরণশরণং বান্ধবজনম্ এই অবান্তর বাক্যটির অর্থ অন্য সুন্দর বাক্যার্থগুলির কাব্যশোভাও নষ্ট করছে। তাই এখানে বিধিমপি বিপন্নাদ্ভুতাবিধিম্ পাঠান্তর দেখানো হয়েছে।

লক্ষণশ্লোকে বক্রশব্দটির অর্থ হল – শাস্ত্রাদিপ্রসিদ্ধশব্দার্থোপনিবন্ধব্যতিরেকী কবিব্যাপারঃ। অর্থাৎ প্রসিদ্ধব্যতিরেকিত্বব্যতিরেকিত্বং বক্রত্বম্ কিন্তু তা হলে কষ্টকল্পনা যেখানে করতে হয় তাও কাব্য হয়ে যাবে তাই বলেছেন তদ্বিদাহ্লাদকারিণি অর্থাৎ প্রসিদ্ধব্যতিরেকিত্ব ছাড়াও আহ্লাদের বিধায়কত্বও থাকতে হবে তবেই কাব্য হবে অন্যথা নয়।

*****


No comments:

Post a Comment